বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট
![This image is no longer relevant](https://forex-images.ifxdb.com/userfiles/20250206/analytics67a44c6319c8c.jpg)
বুধবার, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত রয়েছে, যা স্থানীয় সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের সরাসরি বিপরীতমুখী প্রবণতা। আসুন আমরা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো পুনরায় পর্যালোচনা করি। প্রথমত, দৈনিক টাইমফ্রেমে বর্তমানে মূল্যের কারেকশন হচ্ছে, এবং ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এটি একাধিক পর্যায়ক্রমিক প্রবণতা হিসেবে দেখা যেতে পারে। দ্বিতীয়ত, বৈশ্বিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনো মার্কিন ডলারকে সমর্থন করছে। ডলারের মূল্য এই মুহূর্তে ঊর্ধ্বমুখী নয় কারণ এটির কারেকশনের প্রয়োজন। ফলে, বুধবার মার্কেটের ট্রেডাররা স্থানীয় সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল উপেক্ষা করেছে, তবে মাঝারি মেয়াদে এই মুভমেন্ট যৌক্তিক হিসেবে বিবেচনা করা যায়। জার্মানি এবং ইউরোজোনের সার্ভিসেস PMI সূচকগুলোর ফলাফল ইউরোর মূল্য বৃদ্ধিকে সমর্থন করার মতো ছিল না, তবুও ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্কিন ISM সার্ভিসেস PMI সূচক দুর্বল ফলাফল দেখিয়েছে, তবে ডলারের মূল্য তেমন পরিবর্তিত হয়নি। ADP থেকে প্রকাশিত কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রত্যাশার তুলনায় ভালো ফলাফল দেখিয়েছে, কিন্তু তাতেও ডলার কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। সামগ্রিকভাবে, স্থানীয় পর্যায়ে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টগুলো কিছুটা অযৌক্তিক এবং এলোমেলো বলে মনে হচ্ছে।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট
বুধবার, ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে দুটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। মূল্য 1.0433-1.0451 রেঞ্জের আশেপাশে দুইবার বাউন্স করেছিল। প্রথমবার, মূল্য মাত্র ১৭ পিপস হ্রাস পেয়েছিল, এবং দ্বিতীয়বার পতন তুলনামূলকভাবে বেশি ছিল। প্রথম ট্রেড ব্রেকইভেনে স্টপ লসের সাথে ক্লোজ হয়েছে, যখন দ্বিতীয় ট্রেড কিছুটা লাভজনক হতে পারে অথবা আজকের সেশনেও হোল্ড করা যেতে পারত।
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে বর্তমানে মাঝারি মেয়াদে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে। যদিও স্থানীয় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আগে বাতিল হয়ে গিয়েছিল, তবে এখন এটি আবার শুরু হয়েছে। তবে, এখনও ইউরোর মূল্য হ্রাসের প্রত্যাশা করা হচ্ছে, কারণ মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক উভয় প্রেক্ষাপটই মার্কিন ডলারকে সমর্থন করছে। তবে, দৈনিক টাইমফ্রেমে আরও কয়েক সপ্তাহ ধরে ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন চলতে পারে।
বৃহস্পতিবার, এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে, তবে টেকনিক্যাল লেভেলের ভিত্তিতে ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। বর্তমান ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি হায়ার টাইমফ্রেমে শুধুমাত্র একটি কারেকশন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ঘন্টাভিত্তিক চার্টে এই পরিস্থিতি জটিল মনে হতে পারে, কারণ এখানে পরিবর্তনশীল প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
৫-মিনিট টাইমফ্রেমের জন্য নিম্নলিখিত ট্রেডিং লেভেলগুলো বিবেচনায় নেওয়া উচিত: 1.0156, 1.0221, 1.0269–1.0277, 1.0334–1.0359, 1.0433–1.0451, 1.0526, 1.0596, 1.0678, 1.0726–1.0733, 1.0797–1.0804, এবং 1.0845–1.0851।
বৃহস্পতিবার, ইউরোজোনের রিটেইল সেলস বা খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে এটি এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে মনে হয় না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও আজকের জন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন নেই, শুধুমাত্র বেকারত্ব ভাতার প্রাথমিক দাবি সংক্রান্ত একটি গৌণ গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। তবে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলাফল মার্কেটে আরও বেশি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।