বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
![This image is no longer relevant](https://forex-images.ifxdb.com/userfiles/20250206/analytics67a44e8ddd17a.jpg)
বুধবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকলেও, বিকেলে এই পেয়ারের দরপতন হয়েছে। পূর্বে উল্লেখিত তথ্য অনুযায়ী, গতকালের ইউরোর মূল্যের মুভমেন্ট সামগ্রিকভাবে যৌক্তিক মনে হলেও, স্থানীয় সামষ্টিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে কিছুটা অসংগতিপূর্ণ ছিল। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যও একই ধরনের অযৌক্তিক মুভমেন্ট দেখিয়েছে। সকালে, GBP/USD-এর মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছিল, যদিও যুক্তরাজ্যের একমাত্র প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্তরাজ্যের পরিষেবা খাতের PMI সূচকের ফলাফল হতাশাজনক ছিল। বিকেলে, ADP এবং ISM থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল কারণে এই পেয়ারের মূল্যের আরও ঊর্ধ্বগতির সম্ভাবনা ছিল, তবে তখন পর্যন্ত মূল্য ইতোমধ্যে নিম্নমুখী হতে শুরু করেছিল। তবুও, মাঝারি মেয়াদে পাউন্ডের এই দর বৃদ্ধি যৌক্তিক মনে হয়, কারণ এটি দৈনিক টাইমফ্রেমে তিন মাসের নিম্নমুখী প্রবণতার পরে একটি কারেকশন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।আজ, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠক এবং অ্যান্ড্রু বেইলির ভাষণ নির্ধারিত রয়েছে, যার ফলে দিনজুড়ে মার্কেটে উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা দেখা যেতে পারে। GBP/USD পেয়ারের দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সিদ্ধান্তসমূহ সম্ভবত ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান প্রতিফলিত হবে। তবে, একবার এই বিষয়টি বাজারমূল্যে প্রতিফলিত হয়ে গেলে, পুনরায় পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ফিরে আসতে পারে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
বুধবার, ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে দুটি শক্তিশালী ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথমত, পেয়ারটির মূল্য 1.2502–1.2508 এর রেঞ্জ ব্রেক করেছিল, যদিও এটি খুব স্পষ্ট ছিল না, এবং পরবর্তীতে মূল্য নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছিল। দ্বিতীয়ত, 1.2547 লেভেলে বাউন্সের ফলে নতুন ট্রেডারদের জন্য শর্ট পজিশনে এন্ট্রি নেওয়ার সুযোগ তৈরি করেছিল। বিকেলের মধ্যে, মূল্য 1.2502–1.2507 এরিয়ায় ফিরে এসেছে। ফলে, দুটি স্পষ্ট ট্রেড কার্যকর করা সম্ভব ছিল, এবং উভয় ট্রেডই লাভজনক হতে পারত।
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, বর্তমানে স্বল্পমেয়াদে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে, যা আমরা একটি কারেকশন হিসেবে বিবেচনা করছি। মাঝারি মেয়াদে, আমরা 1.1800 লেভেলের দিকে এই পেয়ারের মূল্য হ্রাসের প্রত্যাশা করছি, কারণ আমাদের মতে এটি সবচেয়ে সম্ভাব্য ফলাফল। ফলে, আমরা দৈনিক টাইমফ্রেমে চলমান ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের সমাপ্তির জন্য অপেক্ষা করছি। এই সপ্তাহে, মার্কেটে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টগুলো অস্থির ও অযৌক্তিক হতে পারে।
বৃহস্পতিবার, স্বল্পমেয়াদে GBP/USD পেয়ারের দরপতন দেখা যেতে পারে, তারপর পুনরায় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সবসময়, টেকনিক্যাল লেভেলগুলোর ওপর নিবিড়ভাবে নজর রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
৫-মিনিট টাইমফ্রেমের জন্য নিম্নলিখিত ট্রেডিং লেভেলগুলো বিবেচনায় নেওয়া উচিত: 1.2010, 1.2052, 1.2089-1.2107, 1.2164-1.2170, 1.2241-1.2270, 1.2301, 1.2372-1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2723, এবং 1.2791-1.2798।
বৃহস্পতিবার, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলাফল প্রকাশিত হবে, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুধুমাত্র বেকারত্ব ভাতার প্রাথমিক দাবি সংক্রান্ত গৌণ গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠক এবং অ্যান্ড্রু বেইলির ভাষণ আজ মার্কেটে সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী ইভেন্ট হবে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।