ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং ট্রেডিংয়ের পরামর্শ
যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যে শূন্যের উল্লেখযোগ্যভাবে নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.2517 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের আরও দরপতনের সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। ফলে, আমি পাউন্ড বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেইনি। 1.2517 লেভেলের দ্বিতীয় টেস্টের সময় MACD সূচকটি শূন্যের অনেক নিচে ছিল, যা পরিকল্পনা #2 অনুসারে পাউন্ড কেনার সুযোগ তৈরি করেছিল। তবে, উল্লেখযোগ্য কোনো ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা যায়নি।
ADP প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা ফরেক্স মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি। কর্মসংস্থানের সংখ্যা বৃদ্ধি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মার্কিন অর্থনীতির স্থিতিশীলতা নিয়ে আস্থা বাড়িয়েছে, যা পাউন্ডের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। ফলে, GBP/USD পেয়ারের বিক্রয় চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা কারেকটিভ মুভমেন্টের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং বুলিশ ট্রেডাররা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রাখার কোনো সুযোগ পায়নি।
আজ, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মুদ্রানীতি এবং সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের প্রভাবে পাউন্ডের ওপর চাপ আরও বাড়তে পারে। মার্কেটের ট্রেডাররা আশা করছে যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড আরও সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করবে এবং অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার কারণে সুদের হার এক চতুর্থাংশ কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে। যদি ব্যাংক অব ইংল্যান্ড মুদ্রাস্ফীতি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সংক্রান্ত উদ্বেগ নিশ্চিত করে, তাহলে এটি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে পাউন্ডের প্রতি আস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দিতে পারে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে, ঝুঁকি কমানোর কৌশল হিসেবে GBP/USD বিক্রি করা মার্কেটের ট্রেডারদের জন্য যৌক্তিক সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে, ট্রেডারদের গুরুত্বপূর্ণ টেকনিক্যাল সাপোর্ট লেভেলগুলোর দিকেও নজর দেওয়া উচিত, কারণ এসব লেভেল গুরুত্বপূর্ণ রেফারেন্স পয়েন্ট হিসেবে কাজ করতে পারে।
দৈনিক ট্রেডিং কৌশল হিসেবে, আমি প্রধানত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করব।
বাই সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: আজ যখন GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.2538-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.2496-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.2538-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি (উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি)। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করলে পাউন্ডের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা দেখা যেঁতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2473-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই ইন্সট্রুমেন্টের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.2496 এবং 1.2538-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির আশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 1.2473-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2438-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি)। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করলে এই পেয়ার বিক্রির সেরা সুযোগ পাওয়া যাবে। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্য নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2496-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.2473 এবং 1.2438-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
চার্টে কী আছে:
- হালকা সবুজ লাইন: এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয়ের জন্য এন্ট্রি প্রাইস।
- গাঢ় সবুজ লাইন: টেক-প্রফিট (TP) সেট করতে পারেন বা ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা, কারণ এই লেভেলের উপরে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
- হালকা লাল লাইন: এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট বিক্রয়ের জন্য এন্ট্রি প্রাইস।
- গাঢ় লাল লাইন:টেক-প্রফিট (TP) সেট করতে পারেন বা ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা, কারণ এই লেভেলের নিচে আরও দরপতনের সম্ভাবনা নেই।
- MACD সূচক: মার্কেটে এন্ট্রি করার সময়, ওভারবট এবং ওভারসোল্ড জোন চিহ্নিত করা গুরুত্বপূর্ণ।
নতুন ফরেক্স ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ন পরামর্শ:
- মার্কেটে এন্ট্রির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
- গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে, মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে ট্রেডিং না করাই উচিত।
- সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেড করলে, ঝুঁকি কমাতে সর্বদা স্টপ-লস অর্ডার সেট করুন।
- স্টপ-লস অর্ডার বা মানি ম্যানেজমেন্টের কৌশল ছাড়াই ট্রেড করলে আপনার ডিপোজিট দ্রুত শেষ হয়ে যেতে পারে, বিশেষ করে বড় ভলিউমে ট্রেড করার সময়।
- সফলভাবে ট্রেড করার জন্য ট্রেডিংয়ের একটি স্পষ্ট পরিকল্পনা থাকতে হবে, ঠিক যেমনটি আমি এই নিবন্ধে প্রদর্শন করেছি। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে ট্রেডিংয়ের স্বতঃস্ফূর্ত সিদ্ধান্ত দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা যেকোন নতুন ট্রেডারের জন্য সহজাতভাবে লোকসান বয়ে নিয়ে আসতে পারে।